বাউফল প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে নবগঠিত উপজেলা যুৃবদলের আহব্বায়ক কমিটিতে অযোগ্য ও রাজনৈতিক কোন কর্মকন্ডে অংশগ্রহন করেননি এমন ব্যক্তিরা গুরুত্বপূর্ন পদ-পদবী পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পদবঞ্চিত ত্যাগী ও যোগ্য নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলার তৃনমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও। তাঁদের অভিযোগ, নতুন এই কমিটিতে যারা গুরুত্বপূনূ পদে রয়েছেন তাদের অধিকাংশই ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস এবং ব্যবসা বানিজ্য করে আসছেন। যারা এলাকায় বছরে একবারের জন্য হলেও আসেন না এবং এদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদেরকে কখনো উপজেলার কোন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করতেও দেখা যায় নাই। অভিযোগের পাশাপাশি নব গঠিত ওই কমিটি বাতিল করে কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্ত করে আন্দোলন -সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে পারে এমন ব্যক্তিদের নিয়ে একটি গ্রহনযোগ্য কমিটি গঠন করার জোর দাবীও জানান তাঁরা। পদবঞ্চিত জেলা যুবদলের সদস্য আলী আযম বলেন, দলের এই ক্রান্তিকালে এই ধরনের কমিটি দেখে সবার মত আমিও হতাশ হয়েছি। সেই ১৯৯০ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে গতকাল পর্যন্ত দলের যেকোন কর্মসূচীতে ছিলাম এবং একজন কর্মী হিসেবে সব সময়ে দলের সঙ্গে থাকবো। তিনি আরো বলেন, একই কমিটিতে বগা ইউনিয়নের আপন দুই ভাইেেক রাখা হয়েছে যুগ্ম আহব্বায়ক হিসেবে। কমিটিতে ৫ জন যুগ্ম আহব্বায়ক ১ নস্বর সদস্যসহ প্রায় প্রায় ২৫ জন সদস্য রয়েছে যারা স্থায়ীভাবে ঢাকায় ব্যবসা বানিজ্য করেন। তাঁরা বাউফলে কখনও রাজনৈতিক কর্মসুচীতে অংশগ্রহন করে নাই। কমিটিতে সদ্য সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি ও জেলা যুবদলের সদস্য সাইফুল ইসলাম ঝুরানকে রাখা হয়েছে ১০ নম্বর যুগ্ম আহব্বায়ক, সাধারন সম্পাদকে আহসান উদ্দিন খন্দকার কে রাখা হয়েছে ১৩ নম্বর যুগ্ম আহব্বায়ক এবং একই কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শিমুলকে করা হয়েছে ২০ নম্মর সদস্য, অথচ ঢাকায় স্থায়ী বসবাস ও ব্যবসা বানিজ্য করছেন এমনকি কখনো ছাত্রদল না করলেও হাজী মোহাম্মাদ পলাশকে করা হয়েছে ৩ ও ৪ নম্বর যুগ্ম আহব্বায়ক। এছাড়াও ঝুরন-আহসান কমিটির ৮ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক ঢাকার স্থায়ী ব্যবসায়ীকে করা হয়েছে তাদের উপরে ৯নম্বর যুগ্ম আহব্বায়ক। এছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলাসহ ১২টি মামলা ও বহুবার কারা নির্যাতিত যুবনেতা ফুয়াদ বিশ^াসকে করা হয়েয়ে ২৮ নম্বর সদস্য অথচ বগার আপন দুই ভাইেেক রাখা হয়েছে যুগ্ম আহব্বায়ক হিসেবে। কমিটিতে ৫ জন যুগ্ম আহব্বায়ক ১ নস্বর সদস্যসহ প্রায় প্রায় ২৫ জন সদস্য রয়েছে যারা স্থায়ী ভাবে ঢাকায় ব্যবসা বানিজ্য করে তারা বাউফলে কখনও রাজনৈতিক কর্মসুচীতে অংশগ্রহন করে নাই। একই অভিযোগ করেন পদবঞ্চিত অন্যান্য নেতা-কর্মীরাও। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা যুবদলের একনেতা অভিযোগ করে বলেন, আর্থিক সুবধা গ্রহন করে জেলা যুবদলের সভাপতি ও বাউফল উপজেলা যুবদলের আহব্বায়ক সাইফুল ইসলাম জসিমের যোগসাজসে রাতের আধাঁরে ওই পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির ব্যাপরে বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি মোঃ শহীদুল আলম তালুকদার বলেন, কমিটিতে ত্যাগী কমীদেরকে মূল্যায়ন করা হয়নি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমার কাছে একটি তালিকা চাওয়া হয়েছিল। আমি একটি তালিকা দিয়েছিলাম কিন্তু সেই তালিকাও মূল্যায়ন করা হয়নি। এ ব্যাপরে জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম লিটনের মুঠোফোনে( ০১৭১২০৪২৭৭১) একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ মনিরুর ইসলাম লিটন ও সাধারন সম্পাদক তৌফিক আলী খান কবির স্বাক্ষর করে ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট্য বাউফল উপজেলা যুবদলের আহব্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন।